English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

ডিজিটালখাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীসহ ১৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননায় ভূষিত

- Advertisements -

দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৮ জন সম্মাননায় ভূষিত হলেন।কম্পিউটার সিটি সেন্টার শপ হোল্ডার্স সোসাইটি এই সম্মাননা প্রদান করে। মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর মাল্টিপ্লান সেন্টারে সোস্যাইটি আয়োজিত মাসব্যাপী ‘বিজয় উৎসব-২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননায় ভূষিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার ও তার স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা বকুল মোস্তাফা রয়েছেন।এছাড়া ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম কম্পিউটারের যাত্রা শুরুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় দেশের প্রথম প্রোগ্রামার পরমানু বিজ্ঞানী প্রকৌশলী মো: হানিফ উদ্দিন মিয়াকে(মরনোত্তর)।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব আহমদ বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন (কামাল) এবং অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বিসিএস এর সাবেক মহাসচিব আহমেদ হাসান জুয়েল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।কম্পিউটার সিটি সেন্টার শপ হোল্ডার সোস্যাইটির সভাপতি তৌফিক এহসান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন ট্রেডবডির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মাননা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন মোস্তাফা জব্বার, বকুল মোস্তাফা, তৌফিক এহসান, মাহবুব জামান, এ ওয়াই মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ (মরণোত্তর), আক্তারুজ্জামান মঞ্জু (মরণোত্তর), শেখ কবির আহমেদ, জেলাল শফি, নজরুল ইসলাম খান (মরণোত্তর), শাহজামান মজুমদার বীর প্রতীক (মরণোত্তর), মোঃ হাবিবুল আলম বীর প্রতীক, জিল্লুর রহিম দুলাল, শাহ সাইদ কামাল, বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী এবং দিল আফরোজ বেগম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে যে মুক্তিযোদ্ধারা অবদান রেখেছেন তাদেরকে সম্মানিত করার চেয়ে ভাল কাজ আর হতে পারে না। এর মধ্যে নিজেও সম্মাননা পেয়েছি এটা খুবই আনন্দের। বিসিসিএস ও বেসিসসহ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের বিভিন্ন ট্রেডবডির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোস্তাফা জব্বার দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে তিন যুগের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন বাংলাদেশে কম্পিউটার ও মোবাইল সেবা বিকাশের ইতিহাসে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আমদানিকারী দেশ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন প্রযুক্তিতে শতশত বছর পিছিয়ে থাকা জাতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এই দেশে এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দেওয়ার সাহস পেতেন না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের যে সম্মান দিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে। তিনি বলেন বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই সব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন