English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

‘কয়েকশ মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন’

- Advertisements -

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভিন্ন সমাবেশে হাজার হাজার নয়, কয়েকশ’ মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

৩২ জেলায় সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগকে জনগণ চায় না’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা আজ দুপুরে সচিবালয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisements

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা তো বছরের পর বছর দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে কয়েকশ’ মানুষ দেখতেই অভ্যস্ত ছিলেন। এখন বিভিন্ন জেলায় তাদের সমাবেশে আমরা দেখেছি তারা মারামারি করে নিজেরা নিজেদের সমাবেশ পন্ড করেছেন। বিভিন্ন সমাবেশে হাজার হাজার নয়, কয়েকশ মানুষ দেখেই মির্জা ফখরুল সাহেবরা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আছে এবং সরকারের সাথে আছে, নির্বাচনে তারা (বিএনপি) সেটি অনুধাবন করতে পারবেন।’
মন্ত্রী এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সাথে বৈঠক করেন।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, টেলিপ্যাবের সভাপতি ইরেশ যাকের, সাধারণ সম্পাদক সাজু মোনতাসের, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, জহির আহমেদ, আনসারুল আলম লিংকন, দপ্তর সম্পাদক এ কে এম নাহিদুল ইসলাম নিয়াজী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বাবলু, আর্কাইভ বিষয়ক সম্পাদক মীর ফখরুদ্দীন ছোটন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আইনুল ইসলাম চৌধুরী চঞ্চল এবং সদস্যদের মধ্যে এম রেজাউল করিম সজল, সাদেক সিদ্দিকী, জাকির খান, ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন, রাশেদা আক্তার লাজুক সভায় অংশ নেন।

Advertisements

নারায়ণগঞ্জে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তৈমূর আলম খন্দকারের বিজয় লাভের কোনো সম্ভাবনা নাই। এটি অনুধাবন করতে পেরে আগেই তাকে বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের যে গ্লানি, সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।’

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার এক বছর আগে। স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছাত্রলীগ দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগের মধ্যে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকে বদনাম করতে না পারে। যারা চুন থেকে পানি খসলেই কিংবা কিছু হলেই সেটার সাথে ছাত্রলীগে কোনোভাবে একসময় নাম লিখিয়েছিল কিংবা লেখায় নাই, সেই গন্ধ খুঁজে ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা লেপন করার অপচেষ্টা করে, তাদের সেই মানসিকতা পরিহারের অনুরোধ জানাই।

নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপ নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করার জন্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করছেন। বিএনপি যে কথাগুলো বলে সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে ক্রমাগতভাবে বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা যে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ্বাস করেনা সেটিই প্রমাণ করছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন