English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ার গাবতলীতে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা

- Advertisements -

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ৫ম ধাপে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৫ জনের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক নিহতের স্বজনদের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন।

নিহতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের কালাইহাটা মধ্যপাড়ার বাসিন্দা কুলসুম, আলমগীর, পশ্চিমপাড়ার আব্দুল রশীদ, উত্তরপাড়ার খোরশেদ আকন্দ এবং রামেশ্বরপুর ইউনিয়নের জাইগুনি গ্রামে জাকির। তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ১ লক্ষ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন আহমেদ, গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন, গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক জাহান, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম ভুলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল হক শিলু, গাবতলীর নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুস ফকির, দক্ষিনপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে। নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আরও যদি কোনো সহায়তা দেয়া যায় সে বিষয়ে চেষ্টা থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক নারীসহ ৪ জন নিহত হন। বুধবার ৯নং ওয়ার্ডের কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তারা নিহত হয়েছেন বলে দাবী করেছে স্বজনরা।

এদিকে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রিট-বিজিবির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চারটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছেন। হামলায় শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে ইউএনও আসিফ পায়ে আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি বর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কালাইহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছেন।

এদিকে একই দিন গাবতলীর রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে জাকির হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন কালাইহাটায় নিহত ৪ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করেছেন। এছাড়া রামেশ্বরপুরে নিহত জাকিরের স্ত্রীকে একটি চাকরি দেয়াসহ ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন