English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার শঙ্কায় বরিশালের বাবুগঞ্জে মরিয়মকে হত্যা

- Advertisements -

বরিশালের বাবুগঞ্জে বিধবা মরিয়ম বেগমকে (৪৩) ধর্ষণ করেন চায়ের দোকানি সুমন ফকির (৩৫) ও সেলুন মালিক শয়ন চন্দ্র শীল (১৯)। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ওই নারীকে হত্যা করেন তারা। বিবস্ত্র করে মরদেহ ফেলে দেন সন্ধ্যা নদীতে।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. শাহজাহান হোসেন। তিনি বলেন, ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর চর থেকে মরিয়ম বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ধার ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার ভূতেরদিয়া গ্রাম থেকে চায়ের দোকানি সুমন ফকির ও সেলুন মালিক শয়ন চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মরিয়ম বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মো. ইকবাল হোছাইন, বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

গ্রেফতার সুমন ফকির বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের উত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামের আতাহার ফকিরের ছেলে এবং শয়ন চন্দ্র শীল একই এলাকার নরেন চন্দ্র শীলের ছেলে। শয়ন চন্দ্র শীলের স্টিমারঘাট এলাকায় একটি চুলকাটার সেলুন আছে। অন্যদিকে সুমন ফকিরের স্টিমারঘাট এলাকায় চায়ের দোকান আছে। নিহত নাম মরিয়ম বেগম (৪৩) কেদারপুর ইউনিয়নের উত্তর ভূতেরদিয়া গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানান, মরিয়মে স্বামী হারুন রশিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১১ মাস আগে মারা যান। দুই ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন এবং দুই মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আসিফকে নিয়ে স্বামীর ভিটায় থাকতেন মরিয়ম বেগম। ছোট ছেলে আসিফ ১২ জানুয়ারি বিকেলে গৌরনদী উপজেলার শরিকল গ্রামে বোন বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতে মরিয়ম বেগম ঘরে একা ছিলেন।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিধবা মরিয়ম বেগম ১২ জানুয়ারি রাতে বাড়িতে একা ছিলেন। মরিয়ম বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি শয়ন চন্দ্র শীল ও সুমন ফকির জানতে পারেন। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তারা মরিয়ম বেগমের পূর্বপরিচিত ছিলেন। গভীর রাতে তারা ঘরে ঢুকে মরিয়মকে ধর্ষণ করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার দেওয়ার কথা বলেন মরিয়ম। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পাবে এমন আশঙ্কায় তারা মরিয়মকে টেনেহেঁচড়ে ঘরের বাইরে এনে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ নদীতে ফেলে আসেন ।

ওসি মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে শয়ন চন্দ্র শীল ও সুমন ফকির গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়। পুলিশের কাছে তারা মরিয়ম বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। স্বীকারোক্তি না দিলে দুজনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন