English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

এবার শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অবস্থান, স্থগিত হলো সিন্ডিকেট নির্বাচন

- Advertisements -

জহিরুল ইসলাম মিশু: এবার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার ১৯ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষকদের একাংশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে তাঁদের হাতে ‘স্টপ ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট ওমেন টিচার্স’ ‘শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি’ ‘শাবিপ্রবির নারী শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’ সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে তাদের হাতে।

ফটকে অবস্থান নেয়ার আগে শিক্ষকদের একাংশ উপাচার্য ফরিদ আহমেদের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করেন।

শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের নিয়ে যে মন্তব্য করছে তা অশালীন। এতে শিক্ষকরা আহত হয়েছেন। তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু শিক্ষক এসব কথা বলছেন। অথচ তারা ভিসির কুরুচিপূর্ণ অডিও ক্লিপ নিয়ে কোনো মন্তব্য করছেন না।

শিক্ষক ফাহমিদা রহমান খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এরকম ভাষা কখনই কাম্য হতে পারে না। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষকদের নিয়ে এমন ভাষা ব্যবহারের পর আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই প্রতিবাদে নেমেছি।

সহকারী অধ্যাপক জাহিদ হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন তার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তাদের দাবিগুলো কতটুকু যৌক্তিক তা প্রশাসন বিবেচনা করবে। কিন্তু দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও অশোভন ভাষা ব্যবহার কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ক্ষোভের ভাষা ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের আরও পরিশীলিত হওয়া প্রয়োজন।

এদিকে আজ ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান বজায় রেখেছেন আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পরিস্থিতির জন্য সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাচারিতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি, ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করতে বাধা দেয়া, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কুমিল্লার লোকদের নিয়োগে প্রাধান্য, উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ তুলেছেন এ বিষয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ জানান, সরকার তদন্ত কমিটি করে কোনো সুপারিশ করলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন শিক্ষক প্রতিনিধিরা গালিগালাজ সহ্য করে আলোচনা করার প্রস্তাব করছেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করছে। এ ছাড়া সমস্যা সমাধানের চূড়ান্ত সময়ে এসে কারা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করে পুলিশকে চড়াও হতে বাধ্য করেছিল, তা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ায় তাদের বিভ্রান্ত না হয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তার আহ্বান জানান উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
২৪ জন শিক্ষার্থী এ অনশনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্র এবং ৯ জন ছাত্রী রয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন