ভোলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের সঙ্গে অপর একটি লঞ্চের (অ্যাডভেঞ্চার–৯) ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন যাত্রী। আরও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের বরাতে জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি এমভি জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটির দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিহত নারী যাত্রী সংঘর্ষের মুহূর্তে মর্মান্তিকভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অপর দুই পুরুষ যাত্রীও ঘটনাস্থলে অথবা গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
যাত্রীরা জানান, লঞ্চের সাইডে অনেক যাত্রী অবস্থান করছিলেন। সংঘর্ষের তীব্রতায় বহু যাত্রী নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার কাজ চলমান থাকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহতদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। স্থানীয় জেলে ও নৌযান শ্রমিকদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর মাঝনদীতে ক্ষতিগ্রস্ত জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি ডুবো-ডুবো অবস্থায় ভাসতে থাকলে ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী–৯ লঞ্চ দ্রুত এগিয়ে এসে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
অন্যদিকে, নিহতদের লাশ ও গুরুতর আহত যাত্রীদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/trgl
