English

33 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

‘আমি মরে গিয়েও যদি সুইটি বেঁচে থাকতো, তাহলে শান্তি পেতাম’

- Advertisements -

‘আল্লাহ আমাকে কেন বাঁচিয়ে রাখলেন। আমি মরে গিয়েও যদি আমার সুইটি বেঁচে থাকতো-তাহলে আমি শান্তি পেতাম।’ কথাগুলো কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সুইটির বাবা মাসুদ মিয়া।

পদ্মা সেতুর কাছে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ইমাদ পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী ছিলেন মাসুদ মিয়া ও তার মেয়ে সুরভী আলম সুইটি।

রোববার সকালে গোপালগঞ্জ থেকে তিনি তার মেয়ে সুইটিকে সঙ্গে নিয়ে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহণের বাসে উঠেন মাসুদ মিয়া।

সুইটি ঢাকার একটি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন স্বামীর সঙ্গে ঢাকার মিরপুরে।

সুইটিকে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া ছিল তার উদ্দেশ্য। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর বিধানে তার সে উদ্দেশ্য অপূর্ণ থেকে গেল। মেয়েকে নিয়ে তার আর ঢাকায় যাওয়া হলো না।

গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ মিয়া। স্থানীয় একটি ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন। ছোট চাকরি করলেও মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি সবসময় যত্মবান ছিলেন তিনি। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ করাই ছিল তার একমাত্র ধ্যান জ্ঞান।

কয়েকদিন আগে সুইটি বাড়িতে আসেন। বাড়িতে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না। তাই ঢাকা ফিরে যেতে ব্যাকুল ছিল তার মন। সেই ইচ্ছা তার অপূর্ণ থেকে গেল। নিয়তির কাছে হেরে গেলেন সুইটি।

গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকায় সুইটিদের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউ অগ্রহ দেখাননি। শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন পরিবারের সবাই। এতবড় শোক কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সুইটিদের প্রতিবেশীরা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন