নিহত রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও কমলনগর উপজেলার চরফলকন গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। অপর নিহত ওসমান একই উপজেলার কাদিরপণ্ডিতের হাট এলাকার হাজী নোয়াব আলীর ছেলে ও পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। আহতরা হলেন— রিজভি চরফলকন গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে ও আকাশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে লক্ষ্মীপুরের ঝুমুর এলাকায় নামেন।
সেখান থেকে অটোরিকশাযোগে তিনিসহ অন্য যাত্রীরা কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট রওনা দেন। পথিমধ্যে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত অবস্থায় রফিকসহ তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর রফিককে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।অপর নিহত ওসমানও ঢাকা থেকে এসেছেন। তিনি একই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান।
ওসমানের মৃত্যুর বিষয়টি তার মামাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান টিপু নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওসমান ঢাকায় হার্নিয়া অপারেশন করিয়েছেন। দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবীর স্বপন বলেন, ‘রফিক ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। হাসপাতালে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) অরূপ পাল বলেন, ‘দুর্ঘটনায় রফিক নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।’
কমলনগর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে ২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি জব্দ রয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’