নিহতরা হলেন— ফয়েজুন্নেছা (৭০), খুরশিদা বেগম (৫০), কবিতা বেগম (৩৫), লাবনী বেগম (২৮), রেশমি আকতার (১১), মিম আককতা (৩) ও লামিয়া আকতার (৮)।
জানা গেছে, নিহতরা ওমান প্রবাসী এক ব্যক্তিকে আনতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে তারা দুটি গাড়িতে করে লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। একটি প্রাইভেটকার ও অন্যটি হাইস মাইক্রোবাস।
ভোররাতের দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. লিটন দেওয়ান জানিয়েছেন, খাল থেকে মাইক্রোবাসটি তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আর কোনো মরদেহ নেই।
ওমান প্রবাসী বেঁচে আছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর পৌনে ৬টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সে সময় লোকজন কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। পরে আলো দেখে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেন।
নোয়াখালী চৌমোহনীর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। চালকসহ ৪ জন পুরুষ যাত্রী বের হয়ে আসতে পারলেও শিশু ও নারীরা মারা যান। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত দুটি মরদেহ পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাকিদের মরদেহও আসছে, বিস্তারিত পরে বলা যাবে।