English

38 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

মাদারীপুরে বাস দুর্ঘটনা: সার্টিফিকেট আনা হলো না আফসানার

- Advertisements -

এমএস সার্টিফিকেট আনা হলো না ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি’র (২৬)। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার থেকে এমএস করেছেন। আফসানার মৃত্যুর খবরে আর্তনাদ করছেন মা কানিজ ফাতেমা। তার আহাজারিতে আশপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।

Advertisements

আজ রবিবার সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।

আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোট বেলাই আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা।

পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে গোপালগঞ্জের আফসানা মিনিসহ ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Advertisements

অন্যরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপার ভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস, সদর উপজেলার বনগ্রামের সামসুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ (৪০) এবং মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের আনজু খানের ছেলে মাসুদ খান (৩০), সদর উপজেলার ছুটফা গ্রামের নওশের আলীর ছেলে সজীব শেখ (২৭), গোপিনাথপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া বাহার (৪২), টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের সামচুল হকের ছেলে কবীর হোসেন (৫০)।

পরিবহন ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী উঠেন। তবে, তারা নিশ্চিত করতে পারেননি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন