জুবায়ের ইসলাম চৌধুরী: বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) এর মেডিসিন বিভাগ নতুন ভবন থেকে মূল ভবনে স্থান্তরের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা বলেন বর্তমানে যেখানে মেডিসিন বিভাগের রোগী রাখা হয় এখানে কোন রোগী তো দূরের কথা কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষেও থাকা সম্ভব নয়।
আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই তারা যেন পূর্বের ন্যায় মূল ভবনে মেডিসিন বিভাগ স্থান্তর করেন। এ বিষয় ভুক্তভোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন বিগত সরকারের আমলে কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিজেদের স্বার্থে জোর করে মেডিসিন বিভাগ নতুন ভবনে নিয়ে যায়। তাই সংস্কারের শুরু মেডিসিন বিভাগ দিয়ে শুরু করা এখন সময়ের দাবি।
এ দিকে নতুন ভবনন মেডিসিন বিভাগ রাখার কক্ষগুলোকে গোডাউন বলে মন্তব্য করেছেন একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: মো: আনোয়ার হোসেন বাবলু। গতকাল ১২ আগস্ট বেলা ১২ টায় ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের ভিজিট শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি গত ২২ সালে মূল ভবনে থেকে নতুন ভবনে মেডিসিন ওয়ার্ড না নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য সচিব, ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তখন আমার সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
নতুন যে ভবনটি করা হয়েছে এটি মূলত আইসিইউ, সিসিআইতে ভর্তি রোগীদের জন্য। এখানে কোন জানালা নেই, বাথরুম সীমিত এবং বেড বসানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। বাহির থেকে দেখতে চকচকে মনে হলেও ভিতরে ঢুকলে বোঝা যায় এটি আসলে একটি গোডাউন।
ডা: আনোয়ার হোসেন বাবলু আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি রোগী মূলত মেডিসিন বিভাগের। সুতরাং তাদের জন্য বেশি বেড ও জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু তখন খামখেয়ালি করে মূল ভবন থেকে মেডিসিন ওয়ার্ড সরানো হয়। বার বার অনুরোধ করার পরেও আমি যখন ব্যর্থ হয়েছি তখন শেবাচিম থেকে বদলী হয়ে পটুয়াখালী চলে গিয়েছিলাম। সব কথার শেষ কথা রোগী ও তাদের স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয় হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা: মশিউল মুনীর বলেন, শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। বরিশাল বিভাগসহ প্রায় ১১টি জেলার ২ কোটি মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। তাই এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও যথাযথ সংস্কারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে দালাল নির্মূল, টেষ্ট বানিজ্য, ট্রলি ও এ্যাম্বুলেন্স চালক সিন্ডিকেট বন্ধসহ আমরা অনেকগুলো সংস্কার দৃশ্যমান করেছি। বাকী কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রোগী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সুবিধার্থে আমরা জনবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। সকলের প্রতি অনুরোধ আপনারা সহায়তা করুন কথা দিলাম এই হাসপাতাল বাংলাদেশের ১ নাম্বার সেবা প্রতিষ্ঠান হবে ইনশাআল্লাহ।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/mnmt