English

29.2 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
- Advertisement -

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর বাসা থেকে কাজের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

- Advertisements -

কামাল হোসেন খানঃ ডেমরা ডগাইড় পশ্চিম পাড়া মাজার রোডের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া পুলিশ কর্মকর্তা এসআই হানিফের ফ্ল্যাট থেকে গৃহ পরিচারিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় ছয় তলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত গৃহপরিচারিকার নাম সুমাইয়া আক্তার মিম(১৩) ব্রাম্মনবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার কুন্দাগ্রামের শাহীন আলম এবং পারভীন বেগমের মেয়ে।সে ৪ বছর পুর্বে ডেমরা ডগাইড় পশ্চিম পাড়া মাজার রোডের পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে কাজের জন্য আসে।

বাড়ির কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান জানান,”সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভবনের চতুর্থ তলায় হৈচৈ শুনে সেখানে গিয়ে কাজের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম এর লাশ ফ্লোরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখি”।
তবে স্থানীয়রা জানান গৃহকত্রীর নির্যাতনের কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ১৪/৭ ডগাইড় পশ্চিম পাড়া মাজার রোডের ছয়তলা বাড়ির চতুর্থ তলার ঐ ফ্ল্যাটটিতে গাজীপুর জেলার বাসন থানার এসআই হানিফ মাহমুদের স্ত্রী ও তার শাশুড়ী বসবাস করতেন।

এসআই হানিফ মাহমুদ গাজীপুরে থাকেন,ছুটি পেলে মাঝে-মধ্যে ঢাকায় আসেন।তার স্ত্রী রাজধানীর পল্টনে একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানীতে চাকুরী করেন। সোমবার সকালে এসআই হানিফ মাহমুদের স্ত্রী বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পরে তার শাশুড়ী ১০ টার দিকে কাজের মেয়ে নিহত সুমাইয়া আক্তার মিম কে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে যান।সাড়ে দশটার দিকে তিনি ঘরে এসে দেখেন যে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা এবং ভেতরের রুমে জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার মিমের ঝুলন্ত দেহ।

তিনি জানালার গ্রীল থেকে ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ফ্লোরে রাখেন।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নারী পুলিশের সহায়তায় লাশের সুরতহাল তৈরি করেন।

গাজীপুর বাসন থানার এসআই হানিফ মাহমুদ বলেন,”ঐ বাসায় আমার শাশুড়ী ৩/৪ বছর যাবত ভারা থাকে ৪ মাস আগে আমি বিবাহ করেছি বাসা খোঁজ করছি এখনো বাসা নেইনি,সকালে ফোনে মৃত্যুর খবরটি পেয়েছি”।

নিহত মিমের পিতা শাহীন জানান,”চার বছর ধরে ঐ বাড়িতে আমার মেয়ে কাজ করছে,আজকে মোবাইলে তার মৃত্যুর খবর পাই,ঘটনাস্থলে গেলে বিস্তারিত জানতে পারব।

কাজের মেয়ে নিহতের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ফারুক মিয়া বলেন,”গৃহকত্রীর নির্যাতনে মৃত্যুর বিষয়ে কথা উঠলেও প্রাথমিকভাবে কোন আলামত পাওয়া যায়নি,লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে”।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/pnhy
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন