জুলাই আন্দোলনের নতুন মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডিএমপির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি গ্রেপ্তার দেখানোর এই আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো অপরাধ করেননি বলে জানিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
বুধবার পশ্চিম রামপুরা থানার রমজান মিয়া হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনু ও পলককে, মিরপুরে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে এবং ভাটারা থানায় শামিম মিয়া হত্যাচেষ্টা মামলায় শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। ১০টা ৪৩ মিনিটের দিকে শুনানি শেষ হয়। আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এবং আসামি পক্ষে ফারজানা ইয়াসমিন রাখি শুনানি করেন।
এদিন পলককে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সালাম দেন পলক। কারাগারে বসে বই পড়েন বলেও জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি।
আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন পলক। তিনি তার আইনজীবীকে বলেন, তিনি কোমর ব্যথায় ভুগছেন। কারাগারে নিয়মিত ব্যায়াম করছেন। ব্যথা কমাতে কোমরে বেল্ট ব্যবহার শুরু করেছেন তিনি।
শুনানির সময় পলকের আইনজীবী আদালতকে জানান, পলক সাহেব কিছু বলতে চান। আদালত বলেন, আগে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হোক। তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকীও কথা বলার বিরোধীতা করেন। তাই গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করার পর পলককে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, ‘কোমর ব্যথায় তিনি ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। তিনি কারাগারে ব্যায়াম করছেন। এখন তার থেরাপি প্রয়োজন। আমরা সু-চিকিৎসা চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’