English

29.7 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫
- Advertisement -

বরিশালে স্ত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রির মামলায় স্বামীর ৭ বছর কারাদণ্ড

- Advertisements -

স্ত্রীকে  যৌনপল্লিতে বিক্রির মামলায় স্বামী মো. ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামির অনুপস্থিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই গৃহবধূকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদউদ্দিনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মধ্যেমে এই অর্থ পরিশোধ করবেন।
নতুবা পিডিআর আইনে আসামির সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ে।
গত ২২ মার্চ বরিশালে মানব পাঁচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর ওই ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় এটি।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন মল্লিক জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের তারাবাড়ি এলাকার মৃত জয়নাল মল্লিকের ছেলে। স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকায় শ্বশুড় বাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন ফরিদ উদ্দিন।
মামলার উদ্বৃতি দিয়ে ওই ট্রাইব্যুনালের স্টোনোগ্রাফার মো. জালাল মিয়া জানান, শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুযোগে ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যায় ফরিদ উদ্দিন। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে যৌনপল্লিতে মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে যায় সে। এর ১৫-২০দিন পর ফরিদ উদ্দিন ফের ওই যৌনপল্লিতে গিয়ে অবস্থান করতে থাকে। ফারজানার কাছ থেকে নিয়মিত অর্থও আদায় করতো ফরিদ। কিছুদিন পর মিন্টু সর্দার ফারজানাকে ওই যৌনপল্লির আরেক সর্দারনী হোসনেয়ারার কাছে বিক্রি করে দেয়। এক পর্যায়ে ফারজানাকে নিয়ে মিন্টু সর্দার ও হোসনেয়ারার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
প্রায় ২ মাস পর ১০ ডিসেম্বর খবর পেয়ে ফারজানার বাবা ও শ্বশুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই যৌনপল্লিতে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সর্দার মিন্টু ও সর্দারনী হোসনেয়ারাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ফারজানার বাবা আবুল কারাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্বামী ফরিদউদ্দিন এবং যৌনপল্লির দুই সর্দার ও সর্দারনী মিন্টু ও হোসনেয়ারাকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
যৌনপল্লির দুই সর্দার ও সর্দারনীকে অব্যাহতি দিয়ে স্বামী ফরিদউদ্দিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পরে ট্রাইব্যুনালে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন একমাত্র আসামি ও ভিকটিমের স্বামী ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে উপরোক্ত দণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী এবং সাজা পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/orat
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন