English

32.8 C
Dhaka
বুধবার, জুলাই ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

অবৈধ সম্পদের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা এ্যানি

- Advertisements -

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার ৬ নম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই খালাসের রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে হাজির ছিলেন।

আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী খালাসের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

গত ১৬ জুলাই এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার বিবরণী থেকে সূত্রে জানা যায় , ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণের দাবি করা হয়।

তথ্য গোপনের অভিযোগে বলা হয়, জমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালীতে তার নামে স্কুলে অনুদান বাবদ ১০ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তিনি। যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, এ্যানির দেওয়া তথ্য অনুসারে স্থাবর-অস্থাবর ও অপ্রদর্শিত সম্পদ মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। যার মধ্যে দায় হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। অর্থাৎ দায় বাদ দিলে তার নিট সম্পদের পরিমাণ হয় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। যেখানে ২০১৩ সালের ৩০ জুন দেয়া সম্পদ বিবরণী অনুসারে তার ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

পরে ২০১৬ সালের ২৪ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির আবেদনে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার পাশাপাশি কেন মামলাটি বাতিল করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছিল।

পরে ২০১৯ সালের ১৪ মে বিচারিক আদালতে চলা মামলাটির উপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ মামলায় বিচার চলাকালীন ১২ সাক্ষীর মধ্যে নয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ymaj
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন