রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলে রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকলো না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না।
তিনি বলেন, এখন যদি জামায়াত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাবো।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামায়াতের মূল আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর অনুপস্থিতিতে আপিল খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আইনের ভাষায় এটাকে বলে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’।
অন্যদিকে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টে যেতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করীম। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।
এ বিষয়ে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, তারা বারবার সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করছেন। সেজন্য আপিল বিভাগ তাদের আবেদন ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ করেছেন। আপিল তারা করেছেন। তারা যদি শুনানি করতে ইচ্ছুক না হন, আদৌ যদি তাদের কোনো গ্রাউন্ড থাকতো তাহলে তারা শুনানি করতেন। তারা নিজেরাই জানেন তাদের কোনো ম্যারিট নেই। এ কারণে তারা বারবার সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করে আসছেন।
পরে এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিগত অসুবিধা রয়েছে। আর অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীনও অনুপস্থিত। এ ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছিলাম। আর অন্য পক্ষ আদালত অবমাননা ও নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দিয়েছিল। যেহেতু আমাদের আইনজীবীরা উপস্থিত নেই, সেহেতু আদালত এটা ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ করেছেন। অর্থাৎ আইনজীবী উপস্থিত না থাকার কারণে খারিজ করেছেন।