English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

- Advertisements -

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওয়াহেদ মণ্ডল তার ছেলের বাসায় দেখা করতে এসেছেন। এর আগে তিনি তাবলিগ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আত্মগোপনে থেকেছেন।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি ছদ্মনামে তাবলিগ দলের সঙ্গে নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করতেন এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ব্যবহার করতেন।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওয়াহেদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়। ১৯৭১ সালে গঠিত জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী আব্দুল ওয়াহেদ জামায়াত ইসলামীর গাইবান্ধা সদরের সদস্য সচিব ছিলেন।

তার বাবা আব্দুল জব্বারও একই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জব্বার গাইবান্ধা সদর এলাকার শান্তি কমিটি ও সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন। বাবার যোগসাজশে আব্দুল ওয়াহেদ ও তার ভাই দুজনেই শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালান।

১৯৭১ সালের ঘটনায় ২০০৯ সালে গাইবান্ধা নিম্ন আদালতে আব্দুল ওয়াহেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একটি মামলা হয়। পরে ২০১৪ সালে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। বিচার শুরু হলে আব্দুল ওয়াহেদসহ অন্যান্য আসামিরা ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামিনে থাকেন। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

পাঁচ আসামির মধ্যে আব্দুর জব্বার ও রঞ্জু মিয়া নামে দু’জন মারা যান। আরও দুইজন আসামি জাছিজার রহমান ও মোন্তাজ আলী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। আর ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায় আব্দুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় ও সাভারে আত্মগোপনে থাকেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন