English

36 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

মিন্নিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে যুবকরা ধ্বংসের পথে যাবে: আদালত

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায়ে পর্যবেক্ষণে বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের নির্মম বর্বরতা ও নির্মমতা মধ্যযুগীয় কায়দায়কেও হার মানিয়েছে। এদের (মিন্নিসহ ৬ আসামি) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে তাদের অনুসরণ করে অন্য যুবকরাও ধ্বংসের পথে যাবে। এসব আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
বুধবার বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
বিচারক আরও বলেন, পাঁচজনের সহযোগী হিসেবে রিফাত শরীফ হত্যায় অংশ নিয়েছেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। একই সঙ্গে তারা ছয়জন রিফাতের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। এজন্য কলেজগেটের সামনে সময়ক্ষেপণ করেন মিন্নি। রিফাতকে যখন মারার জন্য আসামিরা নিয়ে যাচ্ছিল তখন স্বাভাবিক ছিলেন মিন্নি। এতেই প্রমাণিত হয়, মিন্নি হত্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তারই পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এজন্য তাকেও ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান
এদিকে, রায়ের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ২টা ৫০ মিনিটে মিন্নিকে আদালত থেকে ডিবির একটি কালো মাইক্রোবাসে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ১০ মিনিট পর ফাঁসির সব আসামিদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়া হয়। এসময় অন্য একটি গাড়িতে খালাসপ্রাপ্তদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে খালাসপ্রাপ্তদের জামিনে মুক্ত করা হবে। তারা হলেন মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন