২০২৪ সালের জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কীভাবে ফেরত আনা হবে— এমন প্রশ্নই এখন আলোচিত।
সরকারের আইন উপদেষ্টা বলছেন, ভারতে চিঠি দেওয়া হবে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতকে তাদের ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলছেন, পলাতকদের ফেরত আনার দুটি পথ রয়েছে। এছাড়া আইনি পথও দেখিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানান চিফ প্রসিকিউটর ও আইন উপদেষ্টা। বিজ্ঞপ্তি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সচিবালয়ে বলেন, আমি আজকে আরেকটি কথা বলতে চাই, সেটা হচ্ছে আমরা শেখ হাসিনাকে এ দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবার চিঠি লিখব। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে একটি শত্রুতা—একটি অত্যন্ত নিন্দনীয় আচরণ।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার ও রাষ্ট্র আদালতের এ রায়কে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, যারা পলাতক আসামি হিসেবে দেশের বাইরে আছেন, তাদেরকে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আইনের মাধ্যমে শাস্তি কার্যকর করবেন।
গত ২৩ অক্টোবর শুনানি শেষে হাসিনা-কামাল ও সাবেক আইজিপি মামুনের রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন রাখা হয়। ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামীম।
পলাতক দুই আসামি হাসিনা–কামালের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্র-নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছিলেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
