রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে আয়েশা হুমায়রা এশার অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে পরদিন ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সামিউলের বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে এশা ও বাক্কু উভয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এই মামলায় সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। পরে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করা হয়। অপরদিকে প্রেমিক বাক্কু হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। এখন দুজনেই পলাতক আছেন।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/bwkj
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন