English

38 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

সিলেটে ৩ মামলায় সাহেদ করিম কারাগারে

- Advertisements -

বহুল আলোচিত সাহেদ করিমকে সিলেটে চেক ডিজওনারের তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণার মামলায় তদন্ত করে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে দায়েরকৃত ৪টি মামলার বাদী সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী মাওলা স্টোন ক্রাশার মিলের সত্ত্বাধিকারী শামসুল মাওলা। মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাহেদ করিমকে চেক ডিজওনারের তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন। এরআগে আদালতে ৩টি চেক ডিজওনার ও ১টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান,সাহেদের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেছিলেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। ব্যবসায়ী মাওলা সাহেদ করিমের কাছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। সেই পাওনা টাকার বদলে সাহেদ করিম ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩টি চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার বাদী টাকা পাননি। পরে তিনি চেক ডিজওনার করে মামলা করেন।

সাহেদ করিম ১০ লাখ টাকার একটি ভুয়া চেক দিয়ে (চেক নম্বর- ৯০২৬৪৬৩০) শামসুল মাওলার কাছ থেকে পাথর কিনে নেন সাহেদ। পরবর্তীসময়ে ওই চেকটি অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতীয়মান হয়। এজন্য আদালতে মাওলা বাদী হয়ে আরেকটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জৈন্তাপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা বলেন, ঢাকায় গিয়ে সাহেদের সঙ্গে দেখা করলে পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য পাথর সরবরাহের বড় একটি কাজ পাইয়ে দেবেন বলে তাকে আশ্বাস দেন। ওই সময় সাহেদ নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পিএস বলেও পরিচয় দেন। এক পর্যায়ে তার কথায় বিশ্বাস করে ৩০ লাখ টাকার পাথর সরবরাহের চুক্তি করেন সাহেদ। পরে বিল আনতে গেলে তাকে ১০ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক ধরিয়ে দেন সাহেদ।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন