এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ‘বান্ধবী’ অবন্তিকা বড়াল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দেননি। নোটিশ প্রাপ্তির পরও হাজির হননি দুদক কার্যালয়ে। গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
মামলার আলোচিত আসামি পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকা-ের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক উপপরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরের নোটিশ অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়। সোমবার সকাল ১০টায় হাজির হতে বলা হয় দুদকে। চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে জানানো হয়নি।
অবন্তিকার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে অভিযোগ সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে। পরবর্তী সময়ে দুদক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২৭১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেড় হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। মামলায় তদন্ত করছেন উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এই মামলা দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রশান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/novs
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন