English

32 C
Dhaka
শুক্রবার, মে ২, ২০২৫
- Advertisement -

হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতি: পৌর কাউন্সিলর আমিনুলসহ আরও ১৬ আসামী কারাগারে

- Advertisements -

ভুয়া আগাম জামিননামা তৈরির ঘটনায় হাইকোর্টের গ্রেপ্তারি নির্দেশনা দেয়ার ৯ দিন পরে বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ আরও ১৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ এই আদেশ দেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ নিশ্চিত করেছেন।

এ আগে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে ১৪ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।

বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন, বগুড়া পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মন্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নুর আলম মন্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক।

গতকাল কারাগারে পাঠানো ১৪ আসামীরা হলেন বগুড়া সদরের গোদারপাড়া এলাকার  লিটন প্রামানিক, মোহাম্মদ মানিক, মোহাম্মদ জাকির, মোহাম্মদ তানভির, মোহাম্মদ আবদুল গনি, রাসেল মন্ডল, আসাদুজ্জামান মনা, খোকন, শিপন, আল আমিন, দীপ্ত, মিরাজ, হেলাল ও রাব্বী।

আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ মোবাইলে বলেন, ওই মামলায় বুধবার আদালতে ১৬ আসামী আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়।

ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।

সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশও দেয় আদালত।

মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চের উল্লেখ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার দাবি করেন বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামি। তবে ওই দিন এই আদালত থেকে এমন কোনো আদেশ হয়নি। এমনকি সেখানে যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাও ভিত্তিহীন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন