English

30.2 C
Dhaka
মঙ্গলবার, আগস্ট ৫, ২০২৫
- Advertisement -

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা

- Advertisements -

নাসিম রুমি: ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেট পরাশক্তি দলের বিপক্ষে যে কোনো ফরম্যাটে প্রথম সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই খেলায় জয়ের মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।

রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটের জয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফম্যান্স করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার কারণেই ইংল্যান্ডকে ১১৭ রানে অলআউট করা সম্ভব হয়।

১১৮ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। দলের জয়ে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ বলে তিন চারে ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বিকেল ৩টায় খেলাটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজের অফ স্পিনে কুপোকাত ইংলিশরা।

র হয়ে মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।

একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিন শুরুতেই সাফল্য পান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত হন ডেভিড মালান। তিনি ৮ বলে ৫ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ২.২ ওভারে ১৬ রানে ভাঙেন ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি।

এক উইকেটে ৫০ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা।

সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ একের পর এক তুলে নেন ফিল সল্ট, জস বাটলার ও মঈন আলীকে।

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটিংও দারুণ শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার। জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৬ বলে ২০ রান করেন মিরাজ।

মিরাজের পর দলীয় ১০০ রানে মঈন আলীর বলে আউট হয়ে শূন্য রানে ফেরেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সাকিবের পর সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেনও। শেষ ৮ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিরাজ, সাকিবের পর ফেরেন আফিফ। তাদের বিদায়ে ৯৭ থেকে ১০৫ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/oju9
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন