নাসিম রুমি: শারজাহতে রূপকথার মতো রাত নেমে এলো যেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার বাংলাদেশকে হারের স্বাদ দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেটাও ২০৫ রান তাড়া করে। বাংলাদেশ এই প্রথম দুইশ রানের লক্ষ্য দিয়ে হারল কোনো ম্যাচে। আর আরব আমিরাত ইতিহাস গড়লো।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। শেষ দৃশ্যে বাজিমাত স্বাগতিক দলের। সফরকারী বাংলাদেশও প্রতিপক্ষকে জয় উপহার দিতে কম চেষ্টা করেনি! গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ওভার থ্রো থেকে চার রান, ম্যাচজুড়ে বাজে বোলিং কিংবা ফিল্ডিং মিস বাদ যায়নি কিছুই।
শেষ দুই ওভারে আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই উইকেট শরিফুলের। তবে এরপরের গল্পটা একরাশ হতাশার। ৫ বলে গুণে গুণে খরচ করেছেন ১৭ রান। ম্যাচ ঘুরতে শুরু করে ১৯ তম ওভারের ৫ম বলে। ছক্কা মেরে দেন হায়দার আলি। পরের বলে অনায়াসে রান আউট হতে পারতেন তিনি। কিন্তু শরিফুল থ্রো রাখতে পারেননি স্টাম্পে, উল্টো হয়ে যায় বাউন্ডারি!
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। তানজিম সাকিব শুরু করেন ওয়াইড দিয়ে। হায়দার সিঙ্গেল নেওয়ার পর ফুলটসে ধ্রুভ পারাশারের ব্যাটে ছক্কা হজম করেন তরুণ পেসার।
৪ বলে তখন স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৪ রান। পরাশারকে বোল্ড করে আশা জাগান তানজিম। পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান মাতিউল্লাহ নেন সিঙ্গেল। এক নো বলে সমীকরণ আরও সহজ হয়ে যায় আরব আমিরাতের। পরের বলে দুই রান নিয়ে দলকে অভাবনীয় জয় এনে দেন হায়দার। ঠিক সময়ে তাওহিদ হৃদয় থ্রো করলে টাই করার সুযোগ হয়তো পেতে পারত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ২ উইকেটের হারে ৩ মাচের সিরিজে ফিরল ১-১ সমতা। আগামী শনিবার হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।