English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যায়, আমি সহজে ভেঙে পড়ি না: জাহানারা আলম

- Advertisements -

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের ‘পোস্টার গার্ল’ তিনি। ক্রিকেটবিশ্বে তার বিপুল পরিচিতি আছে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার চোখের কাজল সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে প্রথমবার কোনো ট্রফি এনে দিয়েছিল মেয়েরা। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেই অবিস্মরণীয় জয়ের নায়িকা ছিলেন এই জাহানারা আলম। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২ রান। এই কঠিন মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে তিনি দলকে জিতিয়ে দেন।
কলকাতার শীর্ষ এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে জাহানারা তার শক্ত নার্ভের গল্প শুনিয়েছেন। এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে জাহানারা বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যায়। আমি সহজে ভেঙে পড়ি না। ভীষণ কঠিন পরিস্থিতিতেও আমার নার্ভ শান্ত থাকে। বাংলাদেশের বহু কঠিন ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আমি এগিয়ে গেছি। বোলিংয়ের সময়েও কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে বল করতে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময়ে মিড উইকেট, লং অন- এসব জায়গায় আমাকে পাঠানো হয়। ওই সব জায়গায় অনেক ক্যাচ আসে।’
তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপের সময়ে আমাদের কোচ ছিলেন দেবিকা পালশিকার আর অঞ্জু জৈন। ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতিতে তারা আমাকে ব্যাট হাতে নামতে বলেন। ওই ম্যাচে খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও আমি পজিটিভ ছিলাম। আমার মাথায় ছিল, কিছু একটা করতে হবে। দেবিকা-অঞ্জু ম্যাম আমাকে দৌড়ে রান নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। দুই উইকেটের মধ্যে আমি খুব দ্রুত দৌড়তে পারি। এমনকি মারার দরকার পড়লে আমাকে মারতে হবে, এটা ভেবেই আমাকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল।’
অঞ্জু জৈনের ধারণা সঠিক প্রমাণ করে ম্যাচে আসে সেই প্রবল স্নায়ুচাপের সময়। ১ বলে প্রয়োজন ২ রান। জাহানারা বলেন, ‘১ বলে যখন ২ রান দরকার, তখন কোচের নির্দেশ নিয়ে দ্বাদশ ব্যক্তি এসে আমাকে বলে ব্যাটে বল লাগাতেই হবে। ক্যাপ্টেনকে (সালমা খাতুন) বললাম, ব্যাটে বলে ঠিকই ইমপ্যাক্ট হবে। আপনি ২ রানের জন্য দৌড়াবেন। সেই মুহূর্তে আমি মনে মনে স্থির করেছিলাম, দুই রান নিতে হলে ডাইভ দিয়ে আমাকে ক্রিজে ঢুকতে হবে। পরিকল্পনা মতো হরমনপ্রীতের বলটা মিড অনে পাঠিয়ে জানপ্রাণ নিয়ে দৌড় দেই।’

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন