বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তাপ। তবে এই উত্তাপ পাল্টাপাল্টি অভিযোগের। নির্বাচন কমিশনে এরই মধ্যে প্রায় ৩০টির মতো আপত্তিপত্র জমা পড়েছে।
উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে আপত্তি।
নির্বাচনকে ঘিরে বিসিবিতে যেসব নোংরামি হচ্ছে সেসব বন্ধের অনুরোধ করেছেন তামিম। সংবাদমাধ্যমকে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘সঠিকভাবে নির্বাচন করি, হেরে যাই, কে সভাপতি হোক না হোক, কিচ্ছু যায় আসে না। তবে নিজের ইগো বা জেতার জন্য, এই নোংরামি করবেন না।
১৫ ক্লাবকে খসড়া ভোটার তালিকায় না রাখার বিষয়ে তামিম বলেছেন, ‘ওনাদের স্পষ্টভাবে একটা জিনিস বলেছি, এখানে ১৫টা ক্লাবের চেয়ে বড় বিষয় হলো আপনারা যে সিদ্ধান্তটা নিতে যাচ্ছেন, আপনাদের ৩০০ ক্রিকেটারের কথা মাথায় রাখতে হবে। এই ১৫টা ক্লাব বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত খেলে, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট করে। ওই টাকা দিয়েই কিন্তু তাদের একটা বছরের ৭০-৮০% আয় হয়। শুধু খেলোয়াড়দের কথাই আসছে না। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারও জড়িত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’
নির্বাচনকে সরকারের একটা অংশ প্রভাবিত করছে বলে জানিয়েছেন তামিম। অবশ্য এমন শঙ্কার কথা তিনি আরো কিছু দিন আগ থেকেই বলে আসছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন কেন হবে না? এই মুহূর্তে আমাদের যে সরকার আছে তাদের দায়িত্বের মধ্যে কি এটা নেই যে সংস্কার করা? সরকারের একটা অংশ যদি এভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে, তাহলে ভাইয়া এটা কি একটা ভালো উদাহরণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?’