অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং মাঠে ছিলেন একজন আগ্রাসী খেলোয়াড়। কিন্তু কোচ হিসেবে তিনি যেন একেবারে উল্টো—শান্ত ও ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রীতি। তিনি জানতে চান, একজন এত আগ্রাসী খেলোয়াড় কীভাবে ডাগআউটে এত ঠাণ্ডা থাকেন?
প্রীতির প্রশ্ন ছিল, ‘মাঠে আপনি এত আগ্রাসী ছিলেন, কিন্তু ডাগআউটে এত শান্ত আর ধীরস্থির থাকেন কীভাবে?’
পন্টিং তখন হেসে জবাব দেন, এটা পুরোপুরি সত্য নয়। তিনি বলেন, ‘আপনাকে একদিন আমার পাশে এসে বসতে হবে ডাগআউটে। তখন দেখবেন আমি সব সময় শান্ত নই। দেখুন, আমি একটু আগ্রাসী মানুষ, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটের সময় হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটের সময় ছাড়া আমি যেকোনো মানুষকে নিয়ে হাসি, গল্প করি, কফি খাই—সবকিছুই করি। কিন্তু ক্রিকেট শুরু হলে তখন আমার একটাই লক্ষ্য—দলকে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া। আমি এক মিনিটও নষ্ট করতে চাই না, একদিনও নষ্ট করতে চাই না, এমনকি একটাও অনুশীলন সেশন যেন নষ্ট না হয়। আমি চাই আমি যেন সেরা কোচ হতে পারি, আর আমার খেলোয়াড়রাও যেন তাদের সেরাটা দিতে পারে।’
পন্টিংয়ের এই মনোভাবই হয়তো পাঞ্জাব কিংসকে এবার ফাইনালে তুলে এনেছে, যদিও শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে। তবু পন্টিংয়ের নেতৃত্বে দলের খেলায় যে উন্নতি হয়েছে, তা বলছেন সবাই।