নাসিম রুমি: বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল শেষ হওয়ার কথা ছিল একদিন আগেই তবে পরের দিনই চেন্নাইয়ের ম্যাচ থাকায় তার অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ আরেকদিন বাড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি এই পেসারের ইচ্ছে ছিল জয় দিয়ে আইপিএলকে বিদায় বলার তবে সেটি আর হলো না। আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয়েছে কাটার মাস্টারের।
বুধবার (০১ মে) ফিজের কাছে জয়ের পাশাপাশি আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল তবে চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজ এদিন ছিলেন উইকেটশূন্য। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনে ২২ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি বাঁহাতি এই পেসার। তার দল চেন্নাই সুপার কিংসও ১৬২ রানের পুঁজি নিয়ে ১৩ বল আগে ৭ উইকেটে হেরেছ।
১৬৩ রানের টাগের্টে মোস্তাফিজকে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ের আনেন চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরুটা ভালোই করেন তিনি পাওয়ার প্লের দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান দিয়ে উইকেট না পেলেও চাপে রেখেছিলেন ব্যাটারদের।
এরপর ম্যাচের ১৫তম ওভারে যখন বোলিংয়ে আসলেন ততক্ষণে ম্যাচে চেন্নাইয়ের জয়ের কোন আশাই নেই। রাইলি রুশো ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন পাঞ্জাব। মোস্তাফিজের তৃতীয় ওভারের সময় পাঞ্জাবের দরকার মাত্র ২৮ রান হাতে ৬ ওভার।
ফিজ অবশ্য বোলিংয়ে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটার শাশাঙ্ক সিংয়ের কাছ থেকে মেইডেন নেন। তার স্লোয়ার ও কাটারে রীতিমতো চোখে শর্ষে ফুল দেখছিলেন শাশাঙ্ক।
তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেছে চেন্নাই। নিজের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ কোনো বাউন্ডারি হজম না করলেও ৪ ওয়াইড দিয়ে ব্যবধান আরো কমিয়েছেন। তারপরও ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন চেন্নাই বোলারদের মধ্যে সেরা। তবে চেন্নাই সাত উইকেটে পরাজিত হন। আজকে মোস্তাফিজুর ঢাকায় ফিরে আসবেন।