প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের পঞ্চম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়ার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের ‘ডাবল’ও পূর্ণ করলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
রবিবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে ইতিহাস গড়েন সাকিব। ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ছিল ২ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট। সিপিএলে ৪৯৮ উইকেট নিয়ে নামা সাকিব এই ম্যাচে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন। যদিও আসরে নিজের প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করে নিয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট, আগের ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এই ম্যাচে প্রথম ওভারে তৃতীয় বলেই উইকেট পেতে পারতেন সাকিব, কিন্তু রিজওয়ানের লং অনে মারা শট দারুণভাবে তালুবন্দি করেও সীমানা দড়িতে পা ছুঁয়ে ফেলেন জেডেন সিলস। পরক্ষণেই চেষ্টা করে বল বাঁচালেও ছক্কা হয়ে যায়। তবে ওভারের শেষ বলে রিজওয়ান ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে সাকিবের ৫০০ উইকেটের অপেক্ষা শেষ হয়। পরের ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে কাইল মেয়ার্স ও নাভিন-উল-হককে ফেরান তিনি। টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ৫০২।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট রাশিদ খানের, ৬৬০টি। এরপর আছেন ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১), সুনিল নারাইন (৫৯০) ও ইমরান তাহির (৫৫৪)। ৪৫৭ ম্যাচে ৪১৯ ইনিংস বোলিং করে সাকিব গড়েছেন নিজের ৫০০ উইকেটের কীর্তি। তার পর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আছেন আন্দ্রে রাসেল, যিনি নিয়েছেন ৪৮৭ উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেছেন ৯ হাজারের বেশি রান।
এদিন ব্যাট হাতেও ছিলেন কার্যকর সাকিব। ১৮ বলে ২৫ রানের ইনিংসে মারেন দুই ছক্কা ও এক চার, দলের জয় নিশ্চিত করেন ২ বল বাকি থাকতেই। টস হেরে ব্যাট করে প্যাট্রিয়টস তোলে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান, যা সাকিবদের সামনে যথেষ্ট ছিল না। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান। এই জয়ে ছয় ম্যাচে তিন জয় ও সাত পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস।