নাসিম রুমি: লাহোর কালান্দার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি যেন এক টুকরা বাংলাদেশ। এই দলে এখন বিদেশি ক্রিকেটার আছেন ছয়জন, এর মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশের—রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও একসঙ্গে এখনো তিন বাংলাদেশিকে খেলতে দেখা যায়নি। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের বিপক্ষে পিএসএল ফাইনালে কি এমন কিছু দেখা যেতে পারে?
এমনটা হলে এটা বিশেষ কিছুই হবে। কারণ, এমনিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খুব একটা সুযোগ পান না। এক দলে সুযোগ তো পরের কথা।
আজকের পিএসএল ফাইনালের বাস্তবতাও কঠিনই। বাস্তবতা হচ্ছে, ফাইনালের একাদশে তিনজন বাংলাদেশিকে দেখার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লাহোরে বিদেশি হিসেবে খেলেছেন কুশল পেরেরা, ভানুকা রাজাপক্ষে, সাকিব ও রিশাদ। রাজাপক্ষে এলিমিনেটরে ১২ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে করেন ১৩ বলে ২২ রান।
মিডল অর্ডারে নেমে নিজের কাজটা মোটামুটি করে গেছেন এই বাঁহাতি। পেরেরা তো দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৫ বলে ৬১ রান করে দলকে জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এর আগের ম্যাচেও করেছেন ২৪ বলে ৩০। পেরারা বা রাজাপক্ষে কারওই ফাইনালে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় নেই।
রিশাদ কেমন করেছেন, এটাও জানা খবর। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দলে ফিরে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। আউট করেছেন শাদাব খান, সালমান আগা ও জিমি নিশামকে, যাঁরা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মূল ব্যাটসম্যান। এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে দলের বিশেষ পুরস্কার আইফোনও জিতেছেন এই লেগ স্পিনার। ছন্দে থাকা রিশাদকে বাদ দেওয়ার ঝুঁকি নিশ্চয়ই দেখাবে না লাহোর!
কিন্তু ফাইনালে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ কাউকে কি বসিয়ে রাখবে লাহোর? শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ জেতার অভিজ্ঞতা সাকিবের চেয়ে আর কারও বেশি নেই।
দল হিসেবে অবশ্য ফাইনাল খেলাকে অভ্যাস বানিয়েই ফেলেছে লাহোর। গত চার মৌসুমে এটি লাহোরের তৃতীয় ফাইনাল। দলটি শিরোপা জিতেছে দুবার।