নাসিম রুমি: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে ৩ উইকেটে হারের পর কেবল সিরিজ বাঁচানোর সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। চট্টগ্রামে দুই দিন হাতে রেখেই নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল দাপুটে জয় পেয়েছে। মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই জয়ে বেশি খুশি হতে পারছেন না শান্ত।
গতকাল (বুধবার) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের কথা যদি বলেন, এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিৎ ছিল। সিরিজটা জেতা উচিৎ ছিল আমাদের। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা কামব্যাক করেছি।’
এই সিরিজে নিজেদের প্রাপ্তির জায়গা উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় তাইজুল (ইসলাম) ভাই প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ের পর এই ম্যাচে যেভাবে কামব্যাক করেছেন। ওপেনিং জুটি সাদমানের (ইসলাম) ভালো ১০০, (এনামুল হক) বিজয় এতদিন পর দলে আসার পর সুন্দর ব্যাটিং করেছে, যদিও বড় রান হয়নি। ওপেনিংয়ে এই জায়গাটা অনেক ভালো লেগেছে। এখানে ধারাবাহিক হতে হবে। বেশি যেটা ভালো লেগেছে (তানজিম হাসান) সাকিবের ব্যাটিংটা, আজকে অনেক ভালো খেলেছে। টেইল-এন্ডারে অতীতে দেখেছি তাইজুল ভাই অনেক বল ফেইস করেন, আজকে সাকিবের ব্যাটিংটা দারুণ ছিল।’
স্পিন বোলিং কোচ সোহেল ইসলামেরও প্রশংসা করলেন টাইগার অধিনায়ক, ‘৬ ম্যাচ পর জিতলাম আজকে? (ঘরের মাঠে টানা ৬ ম্যাচ পর) অবশ্যই দারুণ খেলেছে আজকে। সোহেল স্যার যেভাবে সাহায্য করেন সবাইকে। দলে থাকলে সবাইকে সাহায্য করতে সুবিধা হয়। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটারদেরকেও সাহায্য করে। পজিটিভ ভাইভ ছিল। খুবই ভালো ব্যাপার ছিল।’
চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২০ উইকেটের ১৮টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। দীর্ঘ সময় ধরেই স্পিনাররা মূল কাজটা করে দিচ্ছেন বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন শান্ত, ‘আমার কাছে মনে হয় স্পিনাররা ভালোই করেছে। সবসময় ভালো করে। দুয়েক দিন ঊনিশ-বিশ হতে পারে। ১০-১৫ বছর ধরে স্পিনাররাই ভালো করছে। বাড়তি কোনো চাপ আমি দিতে চাই না। পেসাররা ভালো করায় স্পিনারদের ওপর চাপ কমেছে। আমি স্পিনারদের নিয়ে একদমই চিন্তিত না। তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে।’
প্রসঙ্গত, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ এক ইনিংসেই কেবল ব্যাট করেছে। যেখানে সাদমান ইসলাম ও মিরাজের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৪৪ রান। এর আগে শুরুতে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অলআউট হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশ লিড পায় ২১৭ রানের। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে সফরকারীরা মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে গেছে। ইনিংস ব্যবধান ও ১০৬ রানে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা টেনেছে বাংলাদেশ।