নাসিম রুমি: স্রেফ দুটি ইনিংস দিয়েই কারও ফর্মহীনতা বিচার করা কঠিন। তবে বিপিএলে এবার দুটি ম্যাচেই লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং এতটাই অচেনা ছিল যে, তা চোখে লাগছে কড়াভাবেই। তিনি নিজেও অনুভব করছেন যে, ব্যাটিংয়ে সুর-তাল-লয় ঠিক মিলছে না।
ব্যর্থতাটুকু মেনে নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়কের আশা, অনুশীলনের পথ ধরে বাজে সময় কাটিয়ে উঠবেন তিনি।
এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে একটি করে ছক্কা ও চার মারলেও লিটন ১৩ রান করেন ১৯ বল খেলে। পরের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মঙ্গলবার নবম ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে আউট হন ১৯ বলে ১৪ রান করে।
দুটি ম্যাচেই যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাকে। চেনা সেই আগ্রাসী রূপ, স্টাইলিশ সব শট বা সাবলিল ব্যাটিং দেখা যায়নি খুব একটা।
প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বরিশালকে হারিয়ে দেন লিটনরা। তবে ম্যাচের পর নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশাটা লুকালেন না তিনি।
“নাহ, অবশ্যই পারছি না (গুছিয়ে ব্যাটিং)… আমি যে ধরনের ব্যাটিং করি, শেষ দুই ম্যাচে একটুও পারিনি। তবে চেষ্টা করছি। অনুশীলন করছি। দেখা যাক, কী হয়।”
বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে খেলছেন ষষ্ঠ মৌসুম চলছে তার। তবে এবারই প্রথম পেলেন নেতৃত্বের গুরুভার। এই ধরনের টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব মানে এমনিতেই একটি চাপ। কুমিল্লা সেখানে টুর্নামেন্টের সফলতম দল। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সরিয়ে এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লিটনকে। চাপ তাই একটু বাড়তিই থাকার কথা তার।
লিটন অবশ্য বলছেন, নতুন এই দায়িত্বের সঙ্গে তার ব্যাটিং ফর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।
“একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যখন অধিনায়কত্ব করবেন একটি বড় দলের হয়ে, এরকম কিছু ম্যাচ থাকে অবশ্যই যে জিততে হবে,, সবাই চায় জিততে… বড় ইভেন্টে বড় দলের সঙ্গে একটু চাপ তা থাকবেই। তবে এটা এমন নয় যে অধিনায়কত্ব আমার নেতৃত্বে প্রভাব ফেলছে। আমি পারছি না, এটা আমার ব্যর্থতা। চেষ্টা করছি, কোনোভাবে হয়তো বের হয়ে যাব এখান থেকে।”
বের হওয়ার চেষ্টায় লিটনের পরের লড়াই সিলেট পর্বের প্রথম দিনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে।