ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইগুলোর একটি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ। আইসিসির টুর্নামেন্ট হোক বা এশিয়া কাপ, এই ম্যাচকে ঘিরে সব সময় থাকে তীব্র উত্তেজনা। সাধারণত টিকিট ছাড়া মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় সব। কিন্তু এবারের দৃশ্যপট একেবারেই আলাদা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত–পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে যে উন্মাদনা প্রত্যাশিত ছিল, তা দেখা যাচ্ছে না।
আয়োজকদের হিসাব অনুযায়ী, ম্যাচের মাত্র ৫০ শতাংশ টিকিট এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অথচ ১০ দিন আগে টিকিট উন্মুক্ত করা হয়েছিল। ক্রিকেটপ্রেমীদের এই অনীহা আয়োজকদের কাছে বিস্ময়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, টিকিট বিক্রিতে ভাটার প্রধান কারণ এর চড়া মূল্য। প্রিমিয়াম মানের প্রতিটি টিকিটের দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়), আর সর্বনিম্ন টিকিটের দাম প্রায় ১২ হাজার টাকা। এত উচ্চ মূল্যের কারণে অনেক সমর্থকই পিছু হটেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও এই একই কারণকে দায়ী করছে।
অতীতে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে সমর্থকদের। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ থাকায় তাদের মুখোমুখি লড়াই দেখা যায় কেবল আইসিসি টুর্নামেন্ট বা এশিয়া কাপে। তাই স্বাভাবিকভাবেই টিকিট বিক্রির রেকর্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার বাস্তবতা ভিন্ন, যা ক্রিকেট বিশ্বের জন্য অপ্রত্যাশিত।
টিকিট বিক্রির এই দুর্বলতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তারা আশা করছে, শেষ মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যাবে বাকি টিকিটগুলো। ম্যাচের দিন গ্যালারি দর্শকে টইটম্বুর থাকবে বলেই তাদের প্রত্যাশা।
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ শুধু একটি খেলা নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার মর্যাদার লড়াই। গ্যালারিতে দর্শক কম থাকলে সেটি কেবল আয়োজকদের জন্যই নয়, ক্রিকেট বিশ্বের জন্যও বড় ধরনের ধাক্কা হবে। এই ম্যাচের জনপ্রিয়তা ও উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের বাণিজ্যিক সাফল্যের অন্যতম চালিকা শক্তি। তাই টিকিট বিক্রির ভাটা ক্রিকেট অর্থনীতিতেও প্রশ্ন তুলছে।