আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক নাটকীয় ম্যাচই দেখা গেল। রিশাভ পান্তের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২২৭ রান করেও বেঙ্গালুরুর হাত থেকে রেহাই পায়নি লক্ষ্ণৌ। ৮ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পেরোয় বেঙ্গালুরু। আইপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এটি। নাটকীয় ম্যাচটির সবচেয়ে ঘটনাবহুল ওভার আবার বেঙ্গালুরু ইনিংসে দিগবেশ রাঠির করা ১৭তম ওভার।
ওই ওভারের প্রথম বলেই বেঙ্গালুরুর নায়ক জিতেশ শর্মাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রাঠি। তবে ক্যাচ মাটি ছুঁয়েছে কি না সেটি দেখতে গিয়ে দেখা যায় পেছনের পা নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে পারেননি এই স্পিনার। ফলত, নো বল ডাকেন আম্পায়ার। নাটকীয়তার ওখানেই শেষ নয়।
শেষ বলে নন স্ট্রাইক এন্ডে থাকা জিতেশ বল ছোড়ার আগেই ক্রিজে বেরিয়ে গেলে মানকাড আউট করেন দেন রাঠি। যদিও টিম স্পিরিটের কথা বিবেচনায় এনে আউটের আবেদন প্রত্যাহার করেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। ফলে নট আউট থেকে যান জিতেশ, উইকেটবঞ্চিত হন রাঠি। পান্তের এমন কর্মকাণ্ডে বেজায় চটেছেন ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তার অভিযোগ, রাঠিকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন পান্ত।
বরাবরই মানকাড আউটের পক্ষে থাকা অশ্বিন বলেছেন, ‘অধিনায়কের কাজ হলো দলের ক্রিকেটারদের পাশে থাকা। দলের কোনো বোলারকে ছোট করা অধিনায়কের কাজ হতে পারে না। আউটের আবেদন ফিরিয়ে নিতে চাইলে, সেটা আগেই করা উচিত ছিল। জানি না, ওরা দলের মধ্যে আলোচনা করছিল কি না। তবে কোটি কোটি মানুষের সামনে একজন তরুণ ক্রিকেটারকে অপদস্থ না করলেও চলত। আমরা বোধহয় অনেক ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই এমন করি না। একজন বোলারকে কেন এ ভাবে ছোট করা হলো? এটা আসলে অপমানের সামিল।’
অশ্বিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আরও বলেন, ‘একজন বোলারকে প্রকাশ্যে এভাবে ছোট করা হলে, ভবিষ্যতে সে আর কখনো মানকাড আউট করার চেষ্টা করবে না। ক্রিকেটপ্রেমীরাও হয়তো বলবেন, ওর এভাবে আউট না করাই উচিত। কেন করবে না বলুন তো? এটা নিয়মই শুধু নয়। ব্যাটারকে এগিয়ে যেতে দেওয়ার অর্থ, তাকে ২ রান নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।’
রাঠির প্রতি পক্ষপাতিত্ব নেই উল্লেখ করে অশ্বিন বলেন, ‘দিগ্বেশ আমার কেউ হয় না। আত্মীয় নয়, বন্ধুও নয়। ওকে চিনিই না। আমার বক্তব্য হলো, একজন বোলারের সঙ্গে কি এমন করা উচিত, যা তাকে প্রভাবিত করতে পারে? আসলে একজন বোলারকে নিয়ে কে আর মাথা ঘামায়! তাই কোটি কোটি মানুষের সামনে আবেদন প্রত্যাহার করে অপমান করাই যায়।’