শততম ওভারে শোয়েব বশিরের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন রিশাভ পান্ত। এই ছক্কায় পৌঁছে গেলেন নিজের শততম রানেও। এরপরই সেই চেনা উদযাপন—ডিগবাজি। সুনীল গাভাস্কার তো বলেই ফেললেন, ‘এমন ঘটনার পর স্ট্রেচার ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা উচিত, যদি লেগে যায়!’
১৪৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর পান্ত থামলেন ১৩৪ রানে। ১৭৮ বলের এই ইনিংসে ১২টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন গুনে গুনে ৬টি ছক্কা। দারুণ এই শতকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন পান্ত। গড়েছেন আরও কিছু রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনে ৬৫ রান করা পান্ত আজ দ্বিতীয় দিনে আদায় করেছেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম শতক। ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সাবেক অধিনায়ক ধোনির সেঞ্চুরি ৬টি। ২০১৪ সালে এসেছিল যার শেষটি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরি আছে আরেক ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনিও।
প্রথম দিনে ৬৫ রান করার পথেই ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন পান্ত। এর মাধ্যমে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ ছক্কা হাকানোর রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সদ্য বিদায়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। এই ম্যাচের আগে ৫৬টি ছক্কা নিয়ে যৌথ অবস্থানে ছিলেন তারা। সবমিলিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের। ৫৪ ম্যাচে ৮৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।
আগের দিন হাফ সেঞ্চুরি করেই ধোনিকে ছাড়িয়ে ‘এসইএনএ’ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) কন্ডিশনে এশিয়ার সবচেয়ে সফল উইকেট কিপার ব্যাটার হন পান্ত। ধোনির পর ভারতের দ্বিতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে করেন ৩ হাজার টেস্ট রানও।
পান্তের আগে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল আর অধিনায়ক শুভমান গিলও। জয়সওয়াল ১০১ আর গিল ১৪৭ রান করে থামেন। এক পর্যায়ে ৩ উইকেট হারিয়েই ৪৩০ রান করে ফেলেছিল ভারত। তবে শেষদিকে ব্যাটিং ধরে আর বেশিদূর যেতে পারেনি। ৪১ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৭১ রানেই অলআউট হয় সফরকারীরা।