ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতির সিরিজ ছিল এটি। দারুণ ফিল্ডিংয়ে সিরিজ জেতার পর লিটন জানালেন, বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ প্রায় প্রস্তত।
চলতি বছর বাংলাদেশ ৩০ ম্যাচ মাঠে নেমেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয়টি পঞ্চম সিরিজ জয় বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর পর শেষ ম্যাচে সিরিজ জয়ের ম্যাচটা জিতেছে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেন, ‘আমি চাইছিলাম দল যেন চাপের পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিততে শেখে। প্রথম ম্যাচে আমরা চাপ কাটাতে পারিনি, কিন্তু লড়াই করে সিরিজ জিতেছি। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমরা ভালো ফিল্ডিং ইউনিট নই, কিন্তু এই সিরিজে কিছু দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছে ফিল্ডাররা। অন্তত ফিল্ডিং বিভাগে উন্নতি দেখিয়েছি। এক বছরে এত টি-টোয়েন্টি খেলার পর আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা আরও পরিপক্ব হয়েছে।’
লিটন জানান, চলতি বছর বাংলাদেশ অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের সেরা কম্বিনেশন খুঁজতে। সেই লক্ষ্যেই সিরিজের শেষ ম্যাচে সব ওপেনারদের টপ-ফোরে ব্যবহার করেছে, পাশাপাশি স্পিনার ও পেসারদের মধ্যেও দ্রুত পরিবর্তন এনেছে।
লিটনের ভাষায়, ‘আমরা প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কিছু পরিবর্তনও করেছি। যেমন আজ (মঙ্গলবার) শেষ ওভারটি মোস্তাফিজকে দিয়ে করাইনি, সাইফউদ্দিনকে দিয়েছি। দুই ম্যাচ না খেলে থাকা একজন খেলোয়াড় চাপে কীভাবে বোলিং করে, তা দেখতে চেয়েছি। আমার মনে হয়, দলের প্রায় সব দিকেই আমরা কিছু না কিছু চেষ্টা করেছি। এই দলটা প্রায় প্রস্তুত পরের বিশ্বকাপের জন্য।’
লিটন প্রস্তত বললেও মিডল অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশ এখনও অপ্রস্তুত। তিন ম্যাচে জাকের আলি, নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি তিনজনই খেলেছেন। যদিও শেষ ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ মেলেনি শামীমের।
এ ব্যাপয়ারে লিটন বলেন, ‘আমি খুব একটা চিন্তিত নই (৬ নম্বর পজিশন নিয়ে)। প্রতিটি সিরিজে সবাই রান করবে, এমন তো নয়। আপনি দেখেছেন (তৌহিদ) হৃদয় এই সিরিজে ভালো করেছে। আমি চাই তারা বিপিএলে রান করুক, এবং সেটা বিশ্বকাপেও যেন ধরে রাখতে পারে।’
লিটন আরও বলেন, একাদশে তিন স্পিনার তাকে রোটেশন করতে হচ্ছে, যার মানে হল তার ‘ম্যাচ উইনারদের’ একজনকে বেঞ্চে বসে থাকতে হয়।
