জহিরুল ইসলাম মিশু,সিলেট ব্যুরো: সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের চা বিরতির পর ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের পাহাড় গড়া বাংলাদেশের সামনে এখন ইনিংস জয়ের দারপ্রান্তে।
বাংলাদেশ ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণার পরই দ্রুত ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ক্যাড কারমাইকেলকে (৫) বোল্ড করেন নাহিদ রানা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৪৭ রানের জুটি গড়েন পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্লিংয়ের (৪৩) বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। যেভাবে তিনি আউট হয়েছেন, সেটা চমকে দেওয়ার মতোই। তাইজুল ইসলামের বলে প্রথমে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করেছেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। স্লিপ থেকে এরপর সরাসরি থ্রোতে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন শান্ত।
প্রথম ইনিংসে ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছিল মুমিনুল হককেও। কিন্তু কোনোটির কিছুই হয়নি। লাঞ্চের আগেই জয় (১৭১) ও মুমিনুল হকের (৮২) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই সেট ব্যাটারের উইকেট হারানোর পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের (২৩) উইকেটও লাঞ্চের আগে হারায় স্বাগতিকেরা। ১১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪৭ রানে প্রথম সেশনের খেলা শেষকরে শান্তর দল।
লাঞ্চের পরই শান্ত গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ১১২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে সেটা চতুর্থ। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন মুশফিক ও শান্ত। তবে রেকর্ড গড়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ১১৪ বলে ১৪ চারে ১০০ রান করার পর বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যারি ম্যাকার্থি।শান্তর মতো ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছেন লিটন দাসও। ৬৬ বলে ৬০ রান করে আউট হয়েছেন লিটন। বাংলাদেশের ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। কিন্তু সাদমান ইসলাম (৮০) ও মুমিনুল (৮২) ৮০-এর ঘরে আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। আয়ারল্যান্ডের ম্যাথু হামফ্রিস ৪৩ ওভারে ১৭০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
