English

26.4 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫
- Advertisement -

আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে দশমাইলে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীদের দাপট

- Advertisements -

দিন দিন বেড়েই চলেছে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার এবং আতংক। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় জনগণের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে এক শ্রেনীর সন্ত্রাসী যুবক দল। এরা স্থানীয় হলেও সকলে তাদের চিনলেও কিছু বলার বা করার সাহস রাখে না। যার কারণ উপর মহলের সহযোগিতা ও প্রশাসনের সঠিক প্রয়োগ না নেওয়া।

এসকল সন্ত্রাসীর দল প্রতিদিন নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত হয়ে এলাকায় তাদের রাজ কায়েম করছে। এমনি একটি সন্ত্রাসী কারণ ঘটেছে গত ১৫/১১/২০২২ তারিখ আনুমানিক রাত ৭:৪৫ ঘটিকায় দিনাজপুরের দশমাইল (বেলডাঙ্গা) নামক স্থানে।

পাওনা টাকার জের ধরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা  মো: মহির উদ্দিন (৪৩), পিতা : মৃত:- আব্দুল মান্নান, সাং- গড়নূরপুর, থানা- কাহারোল, জেলা দিনাজপুর এর উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে।  হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হলেন ১। মো: পিয়ার আলী পলাশ (৩০), পিতা: মো: শহিদুল ইসলাম। ২। মো: একরামুল (৩২), পিতা : আব্দুল বারিক, উভয় সাং- পূর্ব সাদীপুর, ৩। মো: গুলজার হোসেন, পিতা: অজ্ঞাত, সাং- গড়নূরপুর ৪। মো: মোজ্জেম হোসেন ওরফে দাদু (৪৫), পিতা: অজ্ঞাত, সাং- গড় মল্লিকপুর (কান্তনগর), ৫। মো: আরিফ হোসেন (৩০), পিতা- মৃত খলিল, সাং- পূর্ব সাদীপুর, ৬। মো: সবুজ আলী (৩০), পিতা- কাসেম আলী, সাং- গড়নূরপুর, সর্ব থানা- কাহারোল, জেলা- দিনাজপুরসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।

উক্ত বিরোধের জের ধরে ১৫/১১/২০২২ খ্রিঃ রাত্রী আনুমান ০৭.৪৫ ঘটিকার সময় মোঃ মহির উদ্দিন দিনাজপুর হইতে মটর সাইকেল চালিয়ে  বাড়ী ফেরার পথে  মটর সাইকেলের পিছনের চাকার হাওয়া চলে যাওয়ায় দশমাইল হতে দিনাজপুরগামী মহাসড়কের পূর্ব পাশে শফিকুল (৪৫) , পিতা-মৃত তফির আলী, সাং- পূর্ব সাদীপুর, থানা- কাহারোল, জেলা-দিনাজপুরের চায়ের দোকানের সামনে মটর সাইকেল দাঁড় করায়। মটর সাইকেল দাঁড় করা মাত্রই উক্ত আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি , ছুরি, লোহার রডসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে মোঃ মহির উদ্দিনের  উপর হামলা করে।

এ সময় মো: পিয়ার আলী পলাশ তার হাতে থাকা লোহার রড় দ্বারা মোঃ মহির উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করতে গেলে সে মাথা সরিয়ে নিলে পরে গেলে উক্ত আঘাত তার বাম পায়ের হাটুর নিচে লেগে  রক্তাত্ব জখম হয়। অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দ্বারা পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন  স্থানে জখম করে।

এ সময় মোঃ মহির উদ্দিন চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী মোছাঃ রেজিনা (৩৫), বড় বোন মোছাঃ সেলিনা বেগম (৪৮)  এগিয়ে আসলে মো: পিয়ার আলী পলাশ তার কোমড়ে থাকা ছুরি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে সজোরে বাদীর স্ত্রীর মাথায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাত্ব করে।  ২ ও ৩ নং আসামী তাদের হাতে থাকা লাঠি দ্বারা বাদীর স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে  জখম করে। ১নং আসামি তার হাতে থাকা রোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর বড় বোনের মাথা লক্ষ্য করিয়া সজোরে আঘাত করলে বাদীর বোন উক্ত আঘাত ঠেকানের জন্য বাম হাত উঠালে তাহার বাম হাতের কনুই এর নিচে কব্জির উপরে লেগে হাড় ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয়।

এই সময় অন্যান্য আসামীরা বাদীসহ তার স্ত্রী ও বড় বোনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে তাদের হাতে থাকা লাঠি দ্বারা পিটিয়ে এবং কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আরো জখম করে। ৪ নং আসামী বাদীর স্ত্রীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৬,০০০/- (ছিয়াত্তর হাজার ) টাকা। ৫নং আসামী বাদীর বড় বোনের গলায় থাকা দশ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে নেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৭,৫০০/- (সাত চল্লিশ হাজার পাঁচ শত) টাকা । ১,২,ও ৩ নং আসামী এ সময় বাদীর স্ত্রী ও বড় বোনের কাপড় চোপড় টানাহেচড়া করে ছিঁড়ে একপ্রকার বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। ১ নং আসামী বাদীর পকেটে থাকা ১৬,২০০/- (ষোল হাজার দুই শত) টাকা ও বাদীর ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল যার মডেল নং-এ২২ নিয়ে নেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৩,০০০ টাকা। এ সময় বাদীর ও তার বউ এবং বড় বোনের চিৎকার চেঁচামেচিতে  সাক্ষী ১। মোঃ  উজ্জল হোসেন, (২৮) , পিতা- মো: শাজাহান আলী, ২। নং মো: বিপ্লব হোসেন , (৩০) পিতা- মৃত হযরত আলী , ৩। মো: আলী হোসেন (৩২), পিতা-মৃত তফির হোসেন, সর্ব সাং- পূর্ব সাদীপুর, থানা- কাহারোল, জেলা- দিনাজপুরগনসহ আরো উপস্থিত স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে আসামীগনের হাত থেকে বাদী ও তার বউ-বোনের প্রাণ রক্ষা করে।

আসামীগন ঘটনাস্থল হতে চলে যাওয়ার সময় বলে যে, ব্যাটারা আজকের মত বেঁচে গেলি সময় সুযোগ মত রাস্তা ঘাটে একা পেলে মেরে লাশ গুম করবে। বাদীকে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা অজ্ঞাত নামা অটোযোগে দ্রুত চিকিৎসার জন্য কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বাদীর স্ত্রী এবং বড় বোনের শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে তাদেরকে এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রশাসনের নিকট সাহায্য চাওয়া হলেও তারা তার যথার্থ কাজ করেনি উল্টো আশ্বাস দিয়ে ঘুরাতে থাকে।

প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছে এবং অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসীদের জরুরী ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনা উচিত।

 

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/9oeo

1 মন্তব্য

Notify of
guest
1 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
জিল্লু
জিল্লু
2 years ago

বিষয় টা সত্য-মিথ্যা কতটুকু জানি না,তবে এখানে যাদের নাম ব্যাবহার করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে সকল অপরাধীর নাম কি সঠিক? নাকি সাজানো? বাদির সকল ছিনতাইকৃত জিনিস কি সঠিক? না কি সাজানো? সেখানে সঠিক ভাবে যাছাই করে সুষ্ঠ তদন্ত করে, অন্যকে হয়রানি না করে সঠিক অপরাধিকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন