English

28 C
Dhaka
শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
- Advertisement -

চট্টগ্রামে গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাক বিভাগের দুই কর্মকর্তা আটক

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

চট্টগ্রামে গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাক বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সংস্থাটি। জিপিওর সঞ্চয় বিভাগে কর্মরত এ দুই জনের একজনের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা গত ২৬ আগস্ট রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পান। পরে রাতেই তাদের কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটক দুই কর্মকর্তা হলেন- সঞ্চয় শাখার সহকারী পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সারোয়ার আলম খান। নুর মোহাম্মদের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার খরণদ্বীপ গ্রামে এবং সারোয়ারের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার বরহাতিয়া গ্রামে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, সঞ্চয় শাখায় মূলত গ্রাহকের অর্থ জমা নেওয়া ও উত্তোলন করা হয়। ডাকবিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিটে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর দুই কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউলভুক্ত। আমরা তাদের জিডিমূলে দুদকের কাছে হস্তান্তর করেছি।
জানা গেছে, তিন গ্রাহক মাসে মাসে টাকা জমা দিতেন ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে খোলা তাদের একাউন্টে। ডাক বিভাগের দায়িত্বরত দুই কর্মকর্তার তাদের টাকা জমা নিয়ে রশিদও দিতেন। গ্রাহকের হাতে যে রশিদ দেওয়া হতো, ওগুলো ছিল জাল! অর্থ আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটনের পর চট্টগ্রাম জিপিওর ডাকঘর শাখার পরিদর্শক রাজীব পাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দুই কর্মীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে তাদের থানায় পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, ২৬ আগস্ট ওই শাখায় তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে গিয়ে লেনদেনের তথ্য যাচাই করেন জিপিওর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তখনই ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। চিঠিতে বলা হয়, পুলিশে সোপর্দ করা ওই দুই কর্মী অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ অডিটে মোট ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। নূর মোহাম্মদ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরিদর্শনকালে তার কাছ থেকে দুই দফায় ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি ২৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন