সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে চক্রটির নারী সদস্যরা যুবকদের ডেকে মুক্তিপণ দাবি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। পরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার (২৫ জুন) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার মুন্সিচর গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে ইয়াসিন (২৫ ও মাগুরা সদর থানার শিমুলিয়া গ্রমের অলিয়ার রহমানের মেয়ে সুমাইয়া জান্নাত ওরফে সুমি (২০)। তারা দুজনই আশুলিয়া জামগড়ার শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা।
সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডেটিং সাইট ‘টান টান’ অ্যাপের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পলাশ হোসেনের সঙ্গে সুমাইয়া জান্নাত সুমির পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০ জুন রাত ৯টায় পলাশ আশুলিয়ার জামগড়ায় সুমির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসময় সুমি ও ইয়াসিন শেখসহ চক্রের বাকি সদস্যরা পলাশ হোসেনকে জোর করে একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যান এবং আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
পরবর্তী সময়ে তারা ভুক্তভোগীর কাছে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা, একটি আইফোন, মোটরসাইকেলসহ ব্যাংকের কার্ড লুট করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
পরে ওই ভুক্তভোগী বুধবার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জামগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুমি ও পলাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে।
অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।