English

28 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ১২, ২০২৫
- Advertisement -

দুলাভাইয়ের প্রেমে মজেছেন শ্যালিকা, থানায় মুসলেকা দিয়ে পার

- Advertisements -

৮ মাস পূর্বে পারিবারিক ও দুই পক্ষের মতামত এবং ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হয় আব্দুল আজিম ও তাম্মির। বিয়ের কয়েকমাস পরেই সেই সংসারে নেমে আসে অশান্তি।

স্বামীর অভিযোগ, তাকে না জানিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গর্বের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন। এতে দুজনের মধ্যে (স্বামী-স্ত্রী) কলহ আরও বেড়ে যায়। বাপের বাড়ি চলে যান নববধূ। শালিসী বৈঠকে ওই ঘটনার নিষ্পত্তি হওয়ায় গত বছরের ৯ নভেম্বরে স্বামীর বাড়ি ফিরেন নববধূ। কিছুদিন পর স্বামীকে জানান, তিনি এখন অন্তঃসত্ত্বা।

একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সিলেটের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে পজেটিভ ফলাফল আসে। এতে উল্লেখ করা হয় ওই নববধূ প্রায় ৭ সপ্তাহ আগে অন্তঃসত্ত্বা হন। এরকম ঘটনা কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে ঘটেছে।

আব্দুল আজিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নস্থ আব্দুল আজিমের সাথে গত বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে বরমচাল ইউনিয়নের রাউৎগাঁও উত্তর একরামনগর গ্রামের ফুরকান আলীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার তাম্মির বিয়ে হয়।

স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের পর তাম্মির দুলাভাই মইনুল ইসলামের সাথে তার (তাম্মি) পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিলো। স্বামীর দাবি, নববধূর বর্তমানে গর্বের সন্তান তার নয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ফের পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। সম্প্রতি তাম্মির বড় বোনের স্বামী মইনুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় জড়িত থাকার প্রমাণও পেয়েছেন আজিমের বাড়ির লোকজন।

গত ৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাজারস্থ আব্দুল আজিমের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় পান তাম্মি ও তাম্মির দুলাভাই মইনুল ইসলামকে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে এসআই নিয়ামুল ঘটনাস্থলে গিয়ে নববধূ তাম্মি ও মইনুলকে থানায় নিয়ে আসেন। ওই নববধূর পিতা ফুরকান আলী বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি করবেন বলে থানায় মুসলেকা দিয়ে তাম্মি ও মইনুলকে মুক্ত করে নেন।

তাম্মির স্বামী আব্দুল আজিম জানান, স্ত্রীর এ ধরনের আচরণ আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। এ নিয়ে আমি আমার স্ত্রীকে সতর্ক করলেও তার চলাফেরায় পরিবর্তন আসেনি। তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রীর ব্যবহৃত যাবতীয় স্বর্ণালংকার বরমচালস্থ পিতার বাড়িতে রেখেছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। তাছাড়া মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।

এদিকে অভিযুক্ত মইনুল ইসলাম জানান, এ রকম অভিযোগ ভিত্তিহীন। আজিমের পিতা গত ৬ জানুয়ারি আমাকে তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। আমি ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে যাই। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আজিমের বাবা-মা আমার উপর চড়াও হন। আজিম ওই সময় বাড়ির বাহিরে ছিলেন। তাকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করি। একপর্যায়ে তিনিও বাড়িতে আসেন। আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

কুলাউড়া থানার এসআই নিয়ামুল জানান, তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে আসার পর মুসলেকা দিয়ে মহিলার বাবা তাদের নিয়ে যান। 

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/kgje
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন