বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ভাশুরের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক গৃহবধূ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) শেরপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে ওই ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলায় খানপুরের দহপাড়া গ্রামের মৃত আফসারের ছেলে করিম প্রামাণিক (৫০)। বর্তমানে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, রোববার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ভুট্টা খেতে ঘাস কাটতে যান। এ সময় তার ভাশুর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তার কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে ভাশুরের গোপনাঙ্গ আংশিক কেটে দেন। এ সময় করিম আহত হয়ে পালিয়ে যায়। পরে একই দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, করিম অনেক দিন ধরেই আমাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। এর আগে কয়েকবার আমাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেছে। বিষয়টি আমার স্বামী ও স্বজনদের জানালে কেউ বিশ্বাস করেনি। বরং আমাকেই দোষারোপ করে। এ জন্য আমি সবসময় আতঙ্কে থাকতাম। আত্মরক্ষার জন্য কাছে সবসময় একটি ব্লেড রাখতাম। গত রোববার সকালে আত্মরক্ষার জন্য সেই ব্লেড দিয়েই ভাশুর করিমের গোপনাঙ্গ কেটে দিয়েছি।
এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় আসামিকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।