English

31.9 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ৪, ২০২৫
- Advertisement -

ধুনটে ধর্ষণ ও ভিডিওকাণ্ডে গ্রেপ্তার প্রভাষক

- Advertisements -

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ধর্ষণের দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় মুরাদুজ্জামান মকুল (৪৮) নামে এক প্রভাষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুরাদুজ্জামান উপজেলার শৈলমারি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রভাষক। আজ শুক্রবার সকালের দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে মুরাদুজ্জামান মকুলকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ধুনট শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুরাদুজ্জামান মকুল ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ধুনট পৌর এলাকার দক্ষিণ অফিসারপাড়ায় বাসা ভাড়া নেন। সেখানে মুরাদুজ্জামান তার স্ত্রী, কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বাড়িওয়ালার মেয়েটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্কুলপড়ুয়া মেয়েটির প্রতি প্রভাষক মুরাদুজ্জামান মকুলের কুদৃষ্টি পড়ে। এদিকে, পেশাগত কারণে ওই স্কুলছাত্রীর মা-বাবাকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে হয়। এছাড়া মুরাদুজ্জামানের স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক। ফলে তিনিও সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন।

এ সুযোগে ফাঁকা বাসায় মুরাদুজ্জামান কৌশলে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে মুঠোফোনে ছবি তোলেন। এরপর ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুরাদুজ্জামান ৩ মার্চ সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মুঠোফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ওই ভিডিও ছাত্রীকে দেখানো হয়। পরবর্তিতে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একই কৌশলে ফাঁকা বাসায় ওই ছাত্রীকে মাঝে মধ্যেই ধর্ষণ করতেন মুরাদুজ্জামান। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদুজ্জামান ওই ছাত্রীকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন ছাত্রীর চিৎকারে স্বজনরা ঘটনাস্থল পৌঁছলে মুরাদুজ্জামান বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মুরাদুজ্জামানকে পরিবার-পরিজনসহ বাসা থেকে বের করে দেন ওই ছাত্রীর মা-বাবা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন মুরাদুজ্জামান।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মুরাদুজ্জামান মকুলে বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ওই ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মুরাদুজ্জামান। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বগুড়া আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ulit
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন