নাটোরের লালপুরে ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মা (৪০)। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার নাটোর আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার লালপুরের ওয়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা। লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার লালপুরের ওয়ালিয়ায় ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান ভুক্তভোগী। সেখানে ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে ১০-১২ জন ধর্ষণ করে।
পরে চারজনকে নির্দিষ্ট করে অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই গৃহবধূ। এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ সাতজনকে ওয়ালিয়া ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিন পাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির (৩৮)।
এ ঘটনায় ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ মোহন সরকার বলেন, ‘গত মঙ্গলবার পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার এক গৃহবধুকে তার ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার কথা বলে ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে ডেকে আনা হয়। পরে রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজাম তলা এলাকায় নির্জন স্থানে পালাক্রমে ১০-১২ জন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী নারী চারজনসহ অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওয়ালিয়া ফাঁড়ীর পুলিশ অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন