নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি সাধু বা পীর হিসেবে পরিচয় দিতেন বলেন পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত শরীফুল ইসলাম (৪০) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। তাকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বসন্তপুর বাগডাঙ্গী নামে দুর্গম পদ্মার চর থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, শরীফুল একজন কথিত সাধক, নিজেকে কখনো পীর বলে দাবি করেন। প্রায় দুই বছর আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়েটিও নানার বাড়ি চলে যায়।
“গত ঈদুল আজহার ছয় দিন আগে শরীফুল বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে নানাভাবে নির্যাতন করত। শরীফুল মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করত এবং কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিত।”
নাজমুল বলেন, এক পর্যায়ে মা ও নানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরী নির্যাতনের কথা জানালে তাকে উদ্ধারের পর ২২ সেপ্টেম্বর বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা হয়। এরপর আত্মগোপনে চলে যান শরীফুল।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মানিকগঞ্জের ওই দুর্গম এলাকায় গিয়ে তিনি দাঁড়ি-গোঁফ কেটে এক মহিলার বাসায় ওঠেন। বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়ানোর কারণে ওই মহিলা তার পূর্ব পরিচিত ছিল।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় টানা ২৫ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শহীদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিশোরীর দাদা-দাদীও তাকে ধর্ষণে শহীদুলকে সহায়তা করেছে কিনা জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, তদন্তে তাদের নাম আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, “তাকে দেখে বা তার সঙ্গে কথা বলে মানসিক রোগী মনে হয় না। শহীদুল বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে নিজেকে কখনো পীর বলে প্রচার করে মুরিদ জোগাড় করে রাখতো।”
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/4p3v
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন