পরকীয়া সন্দেহে প্রবাসী স্বামী দেশে ফিরে তার স্ত্রী আকলিমাকে (৩৩) ছুরিকাঘাতে হত্যা করলেন। এ ঘটনায় স্বামী মাসুদ আলমকে(৪৩) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখানে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুবাই থেকে আসা স্বামীর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে স্ত্রী আকলিমা বেগম নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এস,আই) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের সময়ে ধস্তাধস্তিতে তার স্বামী মাসুদ আলমের হাত কেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে আটক করে আমাদের (পুলিশের) কাছে দেন। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৮ বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। উভয়েরই এটা ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আকলিমার প্রথম স্বামীর সংসারে সন্তানও ছিল। এদিকে দ্বিতীয় বিয়ের পর দীর্ঘদিন সংসার চলমান অবস্থায় তার স্বামী দুবাই যান।
আর তার স্ত্রী একটি কাপড়ের দোকান পরিচালনা করতেন। পরে তার স্বামী জানতে পারেন তার স্ত্রী আরেকজনের সঙ্গে পরকীয়া করছেন। এমনকি তারা গোপনে বিয়েও করছেন বলে তাকে সন্দেহ করতেন স্বামী মাসুদ আলম। এসব বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবেধের সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘গত ৬ মাস আগে দুবাই থেকে চলে আসেন স্বামী মাসুদ আলম। এরই মধ্যে দুজনেই পৃথকভাবে বসবাস করতে থাকেন। যার যার মতো করে আলাদা করে থাকতেন তারা। ঘটনার দিন মাসুদ দক্ষিণখান থানাধীন দেওয়ান বাড়ি পাকার মাথা এলাকায় স্ত্রীর ভাড়া বাসায় যান এবং স্ত্রী আকলিমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে আকলিমা চতুর্থ তলা বাসার তৃতীয় তলায় বাড়ির মালিকের ফ্ল্যাটে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সেখানেই স্বামী মাসুদ আলম তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে করে গুরতর আহত করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার স্বামীকে আটকে ফেলে পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যান।’
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, স্বামী স্ত্রী উভয়ের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়।