বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে ভাড়া বাসায় এনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে কথিত প্রেমিক। গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে শেরপুর উপজেলার শ্রীরামপুর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তের নাম আলামিন হোসেন (৩০)। তিনি উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উত্তর পেঁচুল গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ফরিদের ছেলে।
জানা যায়, কথিত প্রেমিক স্বামীর সম্পর্কের প্রতিবেশি ভাই। এরই সূত্র ধরে মুঠোফোন ও ইমুর মাধ্যমে কথা হয়। একপর্যায়ে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক, অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে ভাড়া বাসায় এনে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে শেরপুর পৌর শহরের শ্রীরামপুর পাড়ায় একই বাসায় ভাড়া থাকেন অভিযুক্ত আলামিন হোসেন এবং ওই গৃহবধূর পরিবার। এছাড়া ব্যবসায়িক কারণেও আলামিন তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
সেই সূত্রে মুঠোফোন ও ইমুর মাধ্যমে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা হয়। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। তাকে বিয়েসহ নানা প্রলোভন দেয় আলামিন। এমনকি বিয়ের কথা বলে বিগত গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাসায় ডেকে এনে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়। এর আগে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর ওই গৃহবধূকে তালাক দেন তার স্বামী।
এদিকে প্রেমিক আলামিনও বিয়ে করতে তালাবাহানা শুরু করেন। এমনকি অস্বীকৃতিও জানান। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া জানান এই ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আলামিন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।