English

27.2 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
- Advertisement -

মেয়েকে হত্যা করে কুয়ায় ফেললেন মা, সহযোগিতায় বাবা

- Advertisements -

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কুয়ায় ফেলে আড়াই বছরের কন্যা শিশু হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। উপজেলার পূর্ব ঘিলাভূই গ্রামে আয়েশা খাতুন নামে দুই বছরের শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মা আম্বিয়া খাতুন (৩০)। এ কাজে সহায়তা করেছেন বাবা বাদশা মিয়া (৩৫)।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিহতের দাদি জুবেদা খাতুন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান জানান, আদালতে আম্বিয়া খাতুন এ হত্যা নিজেই করেছেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ কাজে তার বাদশা মিয়া তাকে সহায়তা করেছেন।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে আম্বিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার আত্মীয়দের জমির ওয়ারিশ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় তাদের ফাঁসাতে হত্যার পরিকল্পনা করে নিহত শিশু আয়েশার মা ও বাবা। পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় আম্বিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার দু বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে হত্যা করে।

পরে রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী হালিমা খাতুনের বিশুদ্ধ পানির কুয়ায় লাশ ফেলে আসে। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন। বিষয়টি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য তোফাজ্জল হোসেন হত্যা করেছে বলে ছড়িয়ে দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জিজ্ঞাসার মুখে অবশেষে হত্যা নিজেই করেছেন বলে স্বীকার করেন আম্বিয়া।

মামলার বাদী জুবেদা খাতুন বলেন, এরা অমানুষ। জমির ওয়ারিশের জন্য নিজের কন্যাকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে। আমি এদের ফাঁসি চাই। আর যেন কোন বাবা-মা নিজের সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে না পারে।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল। গভীর রাতে দুই বছরের শিশু হেঁটে হেঁটে কুয়াতে পড়তে পারে না। আর শিশুটি যেহেতু মা-বাবার সঙ্গে ছিল, তাই তাৎক্ষণিক আমরা নিহত শিশুর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিহত শিশুর মা আম্বিয়া তার ভাই তোফাজ্জল ও তার আত্মীয়দের ফাঁসাতে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পূর্ব ঘিলাভূই গ্রামের বাদশা মিয়ার বসতভিটার পাশে বিশুদ্ধ পানির জন্য নির্মিত কুয়ায় আড়াই বছরের শিশু কন্যা আয়েশা খাতুনের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/6uuu
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন