শেরপুরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে ভিডিও করার অভিযোগে মুন্না খাঁন (২৬) নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মুন্না সদর উপজেলার শাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে-মুন্না খানের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর। গত সাত অক্টোবর তার স্ত্রীর সিজারে বাচ্চা হয়। বোনের দেখাশোনা করার জন্য মুন্না তার বিবাহিত শ্যালিকাকে (১৯) শেরপুর আসতে বলেন। শ্যালিকা এসে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের শাপমারী গ্রামের দুলাভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। দুদিন থাকার পর তিনি ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত ছেড়ে দেবেন বলে গতকাল রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুরের বাসায় নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, এদিন সকাল থেকে তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করা হয়। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন মুন্না। এ সময় সে হুমকি দেয়, ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। নিরুপায় হয়ে ওইদিন রাতে শ্যালিকা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষক মুন্নাকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক মুন্নাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/q2yn
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন